,

৯০ ভাগ কিশোর-কিশোরী মোবাইল ফোন ব্যবহার করে

সময় ডেস্ক ॥ দেশের ৯০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। বিবাহিত কিশোরীদের প্রায় অর্ধেক ও অবিবাহিত কিশোরীর এক-চতুর্থাংশের নিজস্ব মোবাইল ফোন আছে। কিশোরদের ৫০ শতাংশ এবং বিবাহিত এবং অবিবাহিত কিশোরীদের ২০ শতাংশ সপ্তাহে কমপক্ষে একবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে। প্রতি পাঁচটি পরিবারের একটিতে কমপক্ষে একজন কিশোর/কিশোরী (১৫-১৯ বছর বয়সী) আছে; যাদের মধ্যে ৯৭ শতাংশ জীবনের কোনো না কোনো সময় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় (স্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসা) অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশ কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্য ও কল্যাণ জরিপে (২০১৯-২০) এ তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে জরিপের ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। জরিপে কিশোর-কিশোরীর গণমাধ্যম ব্যবহার, বিয়ে, ঋতুকালীন স্বাস্থ্যবিধি, জেন্ডার-সম্পর্কিত সামাজিক আচরণ, সহিংসতা, মানসিক স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও খাদ্যবৈচিত্র্য এবং পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সংযোগ-ইত্যাদি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়। জরিপে দেখা যায়, ৭৩ শতাংশ অবিবাহিত কিশোরী এবং ৬৬ শতাংশ অবিবাহিত কিশোর বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। এই তথ্যের জন্য কিশোরীরা বইয়ের ওপর নির্ভর করলেও কিশোরদের তথ্যসংগ্রহের মূল মাধ্যম ইন্টারনেট। বিবাহিত ও অবিবাহিত কিশোরীদের ৯৮ শতাংশই ঋতুকালীন সময়ে একবার ব্যবহারযোগ্য প্যাড বা সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে বহুবার ব্যবহার করা যায়-এমন উপাদান ব্যবহার করে। তবে ঋতুকালীন স্বাস্থ্যকর আচরণের প্রবণতা বিবাহিত কিশোরীদের মধ্যে নয় শতাংশ এবং অবিবাহিতদের মধ্যে ১২ শতাংশ মাত্র। প্রতি চারজনের একজন কিশোরী (বিবাহিত এবং অবিবাহিত) ঋতুকালীন সময়ে কমপক্ষে একদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ রাখে। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, কিশোরীদের মধ্যে তিন শতাংশের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে, স্বামীর থেকে পৃথক আছে অথবা বিধবা হয়েছে। এছাড়া কিশোরীদের ১৭ শতাংশ বর্তমানে চার বছর বা অধিক সময় ধরে বিবাহিত। ৩০ শতাংশ কিশোরীর স্বামীর সঙ্গে বয়সের পার্থক্য কমপক্ষে দশ বছর। জরিপে আরও দেখা যায়, সর্বোচ্চসংখ্যক কিশোরী (৪৫ শতাংশ) যাদের স্বামীর সঙ্গে বয়সের পার্থক্য দশ বছর বা তার অধিক। জরিপে প্রতিবেদনে দেখা যায়, এক-তৃতীয়াংশ (৩৪ শতাংশ) বিবাহিত কিশোরী এবং প্রায় এক-পঞ্চমাংশ (১৮ শতাংশ) অবিবাহিত কিশোরী মনে করে স্ত্রী কথা না শুনলে স্বামী তাকে শারীরিকভাবে আঘাতের অধিকার রাখে। ৮৮ শতাংশ অবিবাহিত কিশোরী পথে এবং ১৯ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। প্রতিনিধিত্বশীল ৭২ হাজার ৮০০ পরিবারকে জরিপের নমুনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৬৭ হাজার ৯৩টি পরিবারে জরিপ পরিচালনা করা হয়। এরমধ্যে চার হাজার ৯২৬ জন বিবাহিত কিশোরী এবং সাত হাজার ৮০০ অবিবাহিত কিশোরী। এছাড়া পাঁচ হাজার ৫২৩ অবিবাহিত কিশোরকে জরিপের আওতায় সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। সমীক্ষা অনুসারে, প্রতি দশজন অবিবাহিত কিশোর-কিশোরীর মধ্যে একজন কৃশকায় ও কম ওজনের। অন্য দশ ভাগের এক ভাগ স্থূলকায় বা বেশি ওজনের। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো-৭৬ শতাংশ কিশোর এবং ৮৫ শতাংশ কিশোরী খাদ্যের পাঁচটি গ্রুপ যেমন-শাকসবজি, স্টার্চ জাতীয় খাবার, দুগ্ধ, প্রোটিন এবং ফ্যাটযুক্ত খাবারের মধ্যে চারটি গ্রুপেরও বেশি খাবার গ্রহণ করে থাকে। বেশিরভাগ কিশোর-কিশোরী (৭০-৮০ শতাংশ) আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খায়। মাত্র এক চতুর্থাংশ কিশোর-কিশোরী ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করে। জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান; স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোহাম্মাদ আলিনূর এবং মার্কিন দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি’র পপুলেশন, হেলথ, নিউট্রিশন অ্যান্ড এডুকেশন অফিসের পরিচালক জার্সেস সিধওয়া।ই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হলো। আমেরিকা জানিয়ে দিলো- প্রযুক্তি আদান-প্রদানে তারা চীনকে সহায়তা করবে না। ট্রাম্পের সময় যেভাবে চীনা প্রশাসনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক ছিল সেই ধারাকে অব্যাহত রেখে চলতে চায় আমেরিকা। রয়টার্স সূত্রে খবর, দুই দেশের প্রধান হয়তো শিগগিরই একে অপরের সঙ্গে বসতে চলেছেন। তার আগে আমেরিকার এই কড়া মনোভাব চীনকে ফের নতুন করে ভাবিয়ে তুলবে। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, ট্রাম্পের কিছু নীতিকে অবশ্যই বাইডেন শুধরাতে চান। তবে তিনি চীনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে ধীরে-চলো নীতি গ্রহণের পক্ষপাতী।চীনের সেনাবাহিনীকে তারা অতি আধুনিক টেকনোলজি সরবরাহ করতে চান। তবে এখনই এবিষয়ে তাড়াহুড়ো করতে চান না তারা। মার্কিন দেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক উন্নতিতে বেশ কয়েকটি চুক্তি আগে স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে সেগুলো নিয়ে ফের নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে চান তারা। বাইডেন প্রশাসন সূত্রে খবর, তারা রিপাবলিকানদের উদ্বুদ্ধ করতে চান। তাই তারা চীনের সঙ্গে তাদের বেশ কয়েকটি আধুনিক প্রযুক্তিতে কাজ করবে না। সেখানে রয়েছে সেমিকন্ডাক্টর, বায়োটেকনোলজি এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার। এগুলি মার্কিন অর্থনীতির অন্যতম ধারক এবং বাহক। তাই এগুলোকে তারা নিজেদের আয়ত্বে রাখতে চান। হোয়াইট হাউস সূত্রে বলা হয়েছে, বাইডেনের সঙ্গে জিংপিংয়ের ফোনে কথা হয়েছে। সেখানে তারা একে অপরের প্রতি সৌহার্দ্য বিনিময় করেছে। তবে তা দিয়ে দুই দেশের মধ্যে কতটা চিড়ে ভিজবে তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই।


     এই বিভাগের আরো খবর